Saturday, January 15, 2022

Scholarship in Japan জাপানে পড়াশোনা

 তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীদের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার জাপান। তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণ-তরুণীদের চাকরি নিয়ে বিনা খরচে জাপান যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি প্রোগ্রাম। আপনার যদি আইসিটিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকে, তাহলে এ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিনা খরচে আপনিও জাপান যেতে পারেন। বাংলাদেশ-জাপান আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ট্রেনিং প্রোগ্রামের (বি-জেট) অধীন প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরি নিয়ে জাপান যাচ্ছেন। নতুন বছরে এই প্রোগ্রামের অধীন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রোগ্রাম সম্পর্কে

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজেন্সি (জাইকা) যৌথভাবে ২০১৭ সালে বি-জেট চালু করে। ‘জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প’–এর অধীন এই প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচ পর্যন্ত অর্থায়ন করেছে জাইকা। বর্তমানে অর্থায়ন করছে জাপানের মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়। নবম ও দশম ব্যাচ থেকে এই প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো প্রোগ্রাম তত্ত্বাবধান করছে বিসিসি।

আবেদনের যোগ্য কারা

নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি বা আইসিটি বিষয়ে স্নাতক পাস নবীন শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং বিষয়ে দুই বছর বা তার বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জাপানি ভাষা শেখার প্রবল আগ্রহ থাকতে হবে। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে জাপানে চাকরি করার মানসিকতা থাকতে হবে।

ভর্তি প্রক্রিয়া

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার পর সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পরীক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। বছরে দুইবার শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। এক ব্যাচে ৪০ জন করে বছরে ৮০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সুযোগ-সুবিধা

অষ্টম ব্যাচ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৮৬ তরুণ-তরুণী চাকরি নিয়ে জাপানে আছেন। শতাংশ হিসেবে যা ৭০। যাঁরা জাপানে যাননি, তাঁরা বাংলাদেশে বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে চাকরি করছেন। প্রশিক্ষণে জাপানের করপোরেট কালচার ভালোভাবে শেখানো হয়, তাই জাপান যাওয়ার আগেই জাপানে কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা যায়। প্রশিক্ষণ শেষে জাপানি ভাষায় যোগাযোগ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া জাপানের মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ দেওয়া হবে।

বিনা খরচে চাকরি নিয়ে জাপান

প্রকৌশলী মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের জাপানে চাকরি পেতে সহায়তা করা হয়। করোনাভাইরাস মহামারির আগে জাপানের বিভিন্ন আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে সরাসারি এসব শিক্ষার্থীর ভাইভা নিতেন। করোনার কারণে বর্তমানে অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা নেন তাঁরা। মৌখিক পরীক্ষায় পাস করলে জাপানি কোম্পানির অধীন চাকরি নিয়ে জাপান যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিমানভাড়াও জাপানি কোম্পানি বহন করে।

যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের পাশাপাশি জাপানি ভাষা ও জাপানের করপোরেট কালচার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জাপানি ভাষার এন-৪ লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হয়। জাপানের আইটি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে চাকরির ভাইভায় কীভাবে কথা বলতে হবে, সেটিও শেখানো হয়। এ ছাড়া জাপানে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের সময়কাল ২২ সপ্তাহ। সোম থেকে শুক্রবার ক্লাস নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হবে। করোনার প্রকোপ কমে গেলে সশরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

যেভাবে আবেদন

দশম ব্যাচে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইনে এই লিংকের মাধ্যমে https://forms.gle/h28DjJg78hAg7BKK9 আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত জানা যাবে এই ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/bjet.org/)। দশম ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে ৪ এপ্রিল, প্রশিক্ষণ শেষ সেপ্টেম্বর মাসে।


Prepared by: Noor E Alam

No comments:

Poem: Two mothers remembered

 Two Mothers Remembered Joann Snow Duncanson I had two Mothers two Mothers I claim Two different people, yet with the same name. Two separat...