Friday, February 26, 2021

বাংলা বানানের নিয়ম

মুমূর্ষু √ 

মুমূ্র্ষ ×

সুষ্ঠু √

সুষ্ঠ ×

 উপর্যুক্ত/ উপরিউক্ত √

উপরোক্ত ×

ভাষণ, শাষণ, বারণ, হরণ, কারণ √

পরীক্ষা √

পরিক্ষা ×

মাস্টার √, স্কুল √

মাষ্টার ×

মাতৃভাষা √

জন্ম, মৃত্যু, মৃত

পরিষ্কার 

কনিষ্ঠ 

সুস্থ

কাঁচা 

ধাঁধা 

পাঁচ 

পঁচিশ 

পঁয়তাল্লিশ 

পঁয়ত্রিশ 

সাঁইত্রিশ

পঁচানব্বই

পঞ্চান্ন 

বিজ্ঞান 

সঞ্চয়

ঋণ




নোট: যে শব্দ ইংরেজি শব্দ বাংলায় বানান করে লেখা হয়, সেগুলোতে 'স' হবে, কখনও ষ, শ হবেনা। 

 বাংলা বানানের প্রায়োগিক কিছু ভুল। যেমন:


০১. ‘অত্র’ শব্দের অর্থ এখানে। তাই ‘অত্র’ বললে কখনো ‘এই’ বুঝায় না। অথচ অফিস আদালতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখালেখির ক্ষেত্রে এই অফিস/ এই বিদ্যালয় অর্থে অত্র অফিস/ অত্র বিদ্যালয় লেখা হয়ে থাকে, যা ভুল।

০২. ‘কাল’ শব্দের বিশেষণ হলো ‘কালীন’।

এর অর্থ- সময়ে। অথচ, অনেকেই অধ্যয়নকালীন, যুদ্ধকালীন, চলাকালীন প্রভৃতি শব্দের পরে সময় লিখে থাকেন। ফলে, ‘চলাকালীন সময়ের’ অর্থ দাঁড়ায় চলার সময়ে সময়ে। তাই ‘কালীন’ এর পরে সময় লেখা বাহুল্য ও অর্থহীন।

০৩. আমরা মোহাম্মদ/মুহাম্মদ/ ডাক্তার/ডক্টর প্রভৃতি শব্দের সংক্ষেপণের সময় মোঃ / মুঃ / ডাঃ / ডঃ প্রভৃতি লিখে থাকি। আসলে বিসর্গ (ঃ) একটি বর্ণ, সংক্ষেপচিহ্ন নয়। ইংরেজির মতো বাংলাতেও একবিন্দু (.) কে সংক্ষেপণের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই সংক্ষেপনের সময় বিসর্গ ব্যবহার করা ভুল। বিসর্গ ব্যবহার করলে এগুলোর উচ্চারণ হয়- মোহ্/মুহ্/ডাহ্/ডহ্। সুতরাং বিসর্গ পরিহার করে লেখা উচিত মো./ মু./ ডা./ ড. প্রভৃতিরূপে।

০৪. বাংলাদেশি,বাঙালি, ইংরেজি, আরবি, জাপানি, ইহুদি প্রভৃতি বানান অনেকেই বাংলাদেশী, বাঙালী, ইংরেজী, আরবী, জাপানী, ইহুদী প্রভৃতিরূপে লিখে থাকেন, যা ভুল। কেননা, জাতি ও ভাষার নামের শেষে ই-কার ব্যবহৃত হয়। তাই হ্রস্ব ই-কার দিয়েই উল্লিখিত বানানগুলি লিখতে হবে।

০৫. প্রাণী, শ্রেণী, মন্ত্রী, শশী প্রভৃতি বানানে ঈ-কার ব্যবহার করা হলেও এগুলো যখন সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে বসে তখন ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন : প্রাণিবিজ্ঞান, মন্ত্রিসভা, শশিকর, শ্রেণিসমেত প্রভৃতি।

০৬. ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত হলে পদের শেষে ঈ-কার স্থলে ই-কার হয়। যেমন : প্রতিযোগী + তা = প্রতিযোগিতা, উপকারী + তা = উপকারিতা।

০৭. বিদেশি শব্দে ‘ন’ ও ‘স’ ব্যবহৃত হয়। যেমন : ট্রেন, জাপান, জার্মানি, কোরান, পাকিস্তান, টেন্ডার, কিন্ডার, মাস্টার, স্টুডিও, স্টুডেন্ট, ফটোস্ট্যাট প্রভৃতি।

০৮. নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদৃঃ এগুলোর পরে ক, খ, প, ফ থাকলে ঃ (বিসর্গ) স্থানে ষ হয়। যথা : নিঃ + কাম = নিষ্কাম, দুঃ + কর = দুষ্কর, আবিঃ + কার = আবিষ্কার, নিঃ + কণ্টক = নিষ্কণ্টক।

০৯. সমাসবদ্ধ পদের ক্ষেত্রে প্রথম পদের শেষে ই, উ, বা ঋ এবং ও থাকলে পরবর্তী পদের আদ্যে ষ হবে। যথা : যুধিষ্ঠির, সুষমা, গোষ্ঠী, সুষম ইত্যাদি।

০৮. প্র, পরা, পূর্ব ও অপর -এই চারটির পরবর্তী অন্য শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : প্রহ্ণে, পরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ ইত্যাদি।

০৯. পর, উত্তর, চান্দ্র, নার, রাম শব্দের পর আয়ন শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মুর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যথা : পরায়ণ, উত্তরায়ণ, চন্দ্রায়ণ, নারায়ণ, রামায়ণ ইত্যাদি।

১০. অনেকেই ভর্ত্তি কার্য্য, সূর্য্য, শর্ত্ত, কর্ম্ম প্রভৃতি বানান লিখে থাকেন। অথচ রেফের পর কখনও ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হয় না। তাই লিখতে হবে- ভর্তি, কার্য, সূর্য, শর্ত, কর্ম প্রভৃতিরূপে।

১১. বিশেষণবাচক ‘আলি’- প্রত্যয়যুক্ত শব্দের শেষে ই-কার হবে।

যেমন : সোনালি, রূপালি, বর্ণালি।

১২. অর্থভেদ বোঝাবার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হ্রস্ব ও দীর্ঘ স্বর ব্যবহার করতে হবে। যেমন : কি (অব্যয়), কী (সর্বনাম), তৈরি (ক্রিয়া), তৈরী (বিশেষণ), নিচু (নিম্ন অর্থে), নীচু (হীন অর্থে), কুল (বংশ অর্থে), কূল (তীর অর্থে)।

১৩. অনেক জায়গায়ই ক্রমশ, প্রধানত, মূলত, সাধারণত প্রভৃতি বানান এভাবে (ক্রমশঃ , প্রধানতঃ , মূলতঃ , সাধারণতঃ) লেখা হয়ে থাকে। মূলত পদান্তে বিসর্গ বসে না।

১৪. ব্যঞ্জনবর্ণে উ-কার ( ু ), ঊ-কার ( ূ ) ও ঋ-কারের একাধিক রূপ পরিহার করে এই কারগুলি বর্ণের নিচে যুক্ত করে লিখতে হবে। যেমন : শুভ, রূপ, হৃদয়।

১৫. বিশেষণবাচক পদ (গুণ, সংখ্যা বা দূরত্ব ইত্যাদি বাচক) হলে আলাদা বসবে। যেমন : এক জন, কত দূর, সুন্দর ছেলে।

১৬. নঞর্থক শব্দ পৃথকভাবে বসবে। যেমন : ভয়ে নয়, হয় না, আসে নি, কাছে নেই।

১৭. টা, টি, খানা, খানি, গুলি, গুলো, রা, এরা, গণ, বৃন্দ, সমূহ- প্রভৃতি শব্দগুলো কোনো বচনের পরে আমরা অনেক সময় আলাদা করে লিখে থাকি। অর্থাৎ বই গুলি, গ্রন্থ সমূহ, শিক্ষক গণ প্রভৃতিরূপে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো সবই জোড়া লাগবে। তাই লিখতে হবে- বইগুলি, গ্রন্থসমূহ, ছেলেরা, শিক্ষকগণ, অতিথিবৃন্দ প্রভৃতি।

১৮. ‘আগামী’ ও ‘গত’ শব্দের পরের শব্দ সব সময় পৃথক বসবে। যেমন : আগামী কাল, আগামী দিন, গত কাল, গত বছর প্রভৃতি।

১৯. ‘বিশেষ’ শব্দে যদি প্রকার বা ভেদ বুঝায়, তা হলে পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : অবস্থাবিশেষ, পুষ্পবিশেষ, গ্রন্থবিশেষ প্রভৃতি ।

২০. ‘ভাবে’ শব্দটি পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : ভালোভাবে, অদৃশ্যভাবে, ঘনিষ্টভাবে প্রভৃতি।

২১. ‘মতো’ শব্দ দ্বারা যদি অনুযায়ী/অনুসারে বুঝায়, তবে পূর্ববর্তী শব্দের সাথে জোড়া লাগবে। যেমন : ইচ্ছেমতো, কথামতো প্রভৃতি।

২২. ‘সব’ এবং ‘সারা’ উভয়ই সমগ্র/সমস্ত/সর্বত্র ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করে। শব্দ দুটি সাধারণত পৃথক বসে। যেমন : সব অশান্তি, সব ঘটনা, সব লোক, সারা অঙ্গ, সারা দিন। ব্যতিক্রম : সবশেষে, সবকিছু, সারাক্ষণ প্রভৃতি।

২৩.‘মাত্র’ শব্দের অর্থ প্রত্যেক/শুধু/পর্যন্ত/তখনই প্রভৃতি বোঝালে এর পূর্ববর্তী শব্দের সঙ্গে জোড়া লাগবে। যেমন : আসামাত্র, এইমাত্র, একমাত্রা, একটিমাত্র, কিছুমাত্র, বলামাত্র প্রভৃতি। ব্যতিক্রম : দশ টাকা মাত্র, একটা কলম মাত্র প্রভৃতি।

২৪. ‘প্রতি’ শব্দ দ্বারা যদি ব্যাপ্তি বোঝায়, তবে এর পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শব্দ পৃথক বসবে না। যেমন : প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিবছর, প্রতিমুহূর্ত, ছাত্রপ্রতি, জনপ্রতি ইত্যাদি। ব্যতিক্রম : আমাদের প্রতি, জনতার প্রতি প্রভৃতি।

২৫.‘পর’ শব্দ দ্বারা যদি পরের/পরবর্তী/অন্য/ভিন্ন প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ করে, তবে পরবর্তী শব্দটির সঙ্গে জোড়া লাগবে। যেমন : পরকাল, পরদিন, পরনারী, পরজীবী, পরদেশ প্রভৃতি।

২৬. ‘নানা’/‘নানান’ শব্দ পরবর্তী শব্দ থেকে পৃথক বসবে। যেমন : নানা অসুবিধা, নানা ঝামেলা, নানান পথ প্রভৃতি।

২৭. ‘কাল’ ও ‘ক্ষণ’ শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ আলাদা না বসে একসঙ্গে বসবে। যেমন : একাল, এতকাল, বহুকাল, কতকাল, কতক্ষণ, বহুক্ষণ ইত্যাদি।

২৮. ‘উদ্দেশ’ শব্দ দ্বারা হদিস, লক্ষ্য, খোঁজ বুঝায়। আর ‘উদ্দেশ্য’ শব্দ দ্বারা অভিপ্রায় বা মতলব, তাৎপর্য, প্রয়োজন প্রভৃতি বুঝায়। যেমন :

কার উদ্দেশে একথা বলা হল কেউ বুঝতে পারল না।

লোকটা উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কাজ করে না।

২৯. লক্ষ হলো ১০০ হাজার। আল লক্ষ্য অর্থ উদ্দেশ্য বা দেখা। তবে লক্ষ্য বানানের সাথে যদি ‘ই’ যোগ হয়, তখন (্য) য-ফলা উঠে গিয়ে ‘লক্ষই’ হয়। যেমন :

আমার পাঁচ লক্ষ টাকা দরকার।

আমাদের লক্ষ্য উন্নতি করা।

নিজের শরীরের দিকে সে লক্ষই করে না।

৩০. ‘বোধ হয়’ শব্দের অর্থ মনে হয় এবং ‘বোধহয়’ অর্থ সম্ভবত। যেমন :

আমার বোধ হয় সে পৌঁছে গেছে।

সে বোধহয় আজ অফিসে যাচ্ছে না।


বাংলা বানানের ক্ষেত্রে এরকম আরও অনেক ছোটখাট প্রায়োগিক ভুল শুধু আমাদের সামান্য সচেতনতার অভাবে হয়। আমাদের রক্তে কেনা ভাষার প্রতি আমরা যদি আর একটু সচেতন ও যত্নশীল হই তাহলে ভুল বাংলা বানানের ভুল থেকে আমরা সহজেই মুক্তি পেতে পারব।


আসুন আমরা বাংলা ভাষার চর্চা করি এবং বাংলা বানানের প্রতি যত্নবান হই

বর্তমানে বাংলা কমিউনিটি ব্লগের অনেক ছড়াছড়ি । সেই সুবাদে অনেক সৃজনশীল কবিতা , গল্প, প্রবন্ধের প্রসার এবং পরিচিতি ঘটছে খুব সহজেই । সেই সাথে বাংলা ভাষার যথেচ্ছ ব্যবহার ও প্রসার বাড়ছে । অতীতে যা সম্ভব ছিলো না আজ তাই সম্ভব হতে দেখছি চোখের সামনে । গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কোন লেখা নিয়ে সার্চ দিলেই দেখা যায় কি সুন্দর বাংলা লেখাগুলোর লিংক আসছে । 

শুধু কি বাংলা ভাষাতে কবিতা , গল্প কিংবা প্রবন্ধ লিখলেই আমাদের লেখা স্বার্থকতা পাবে ? 


লেখার স্বার্থকতা নিহিত থাকে লেখার মূলভাব , সৌন্দর্য ও বানানের প্রতি যত্নের উপর । আমি মূলত বানানের কথাটাই লিখতে চাই । 


কেউ বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না , আমি কখনো কোন বানান শিখার জন্য মুখস্থ্য করিনি । আমি যখনই যা পড়তাম সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম । একটা লেখা পড়ার সময় যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ি তাহলে সেই লেখার প্রতিটি বানান মনের মধ্যে গেঁথে যায় , আলাদা করে আর বানান মুখস্থ্য করতে হয় না । অন্তত আমার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে । 


আমার কাছে মনে হয় বাংলা ভাষার প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা থাকলে বাংলা বানান এমনিতেই ভুল হবে না । সেটা কি বাংলা , কি ইংরেজি যেকোন ভাষাই হোক না কেন । 


যেহেতু বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলোর লেখকদের লেখার দুরবস্থা দেখে হতাশ সেহেতু বাংলা বানান নিয়ে কিছু কথা লিখবো । আশা করি অনেকের কাজে দিবে । এবং বানানের প্রতি আরও যত্নবান হবেন । 


বাংলা বানান সঠিকভাবে লেখার জন্য ব্যাকরণ এর সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিন্তু তাই বলে আমি বলছি না যে ব্যাকরণ শিখেই বাংলা লিখতে হবে । আমরা জন্মের পর থেকেই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি , বড় হওয়ার পর বাংলা ব্যাকরণ এবং এর বিভিন্ন শাখার সাথে পরিচিত হই । কথা বলা র জন্য ব্যাকরণ এর প্রয়োগ করতে হয় না । কারণ আমরা যা বলি তার বেশিরভাগই প্রচলিত কথা । 


প্রচলিত কথা দিয়ে কোন কিছু যেমন , কবিতা , গল্প, প্রবন্ধ লিখলে মূল ভাবটা সহজে বুঝতে পারবো না । কিংবা দেখা যাবে যে মূল ভাবটা লেখার সাথে সাথেব চলে আসছে । যা কবিতা , গল্প, প্রবন্ধের জন্য গ্রহনযোগ্য নয় । 

তবে স্মৃতিচারণ কিংবা ভ্রমণকাহিনী লেখার বেলায় সেই প্রচলিত কথা অনুসারে সাজিয়ে লিখলেই চলে । 

যদি গল্প এভাবে লিখতে বসি তাহলে সবাই বলবে এটা গল্প হয়নি । সেটাই স্বাভাবিক । 


তেমনি বানানের ভুল ব্যবহারের কারণে এক অর্থ আরেক অর্থে রুপান্তরিত হয় । আমি কিছু উদাহরনের সাহায্যে ব্যাপারগুলো ধরিয়ে দেবো । 


শব্দের সঠিক প্রয়োগ জনিত ভুল , 


১. ফলগাছটা এখনো অপরিণীত ( অপরিণত ) । তাহলে অর্থটা কি দাড়াবে , 

অপরিণত -যা পরিণত হয় নি 

অপরিণীত - অবিবাহিত । 


২. চর - নদীর চড়া 

চড় - চপেটাঘাত । 


৩. নিতি - রোজ 

নীতি -নিয়ম 


৪. জোড় - যুগ্ম 

জোর - শক্তি 


৫. শব - মৃতদেহ 

সব - সকল 


আমি এখানে কিছু অর্থ তুলে ধরলাম । কারণ প্রায় দেখি এরকম কাছাকাছি শব্দের এক জায়গার প্রযোগ আরেক জায়গায় । 


আপনারাই দেখুন তো সামান্য একটু ভুল এর কারণে আপনার মূল লেখারটার অর্থ কি হয়ে যায় । 


যদি সম্ভব হয় বাচ্চাদের ব্যাকরণ বইটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখুন । পারলে বাচ্চাদেরকে নিজে পড়ান ব্যাকরণ তাতে আপনার বাসার বাচ্চা যেমন ব্যাকরন এ পারদর্শী হবে তেমনি আপনারাও আপনাদের ভুলে যাওয়া অংশটুকু চর্চার মাধ্যমে ভুল ভ্রান্তিগুলো খুব সহজেই বের করতে পারবেন । আর বানান ভুল সেটা হওয়ার সম্ভাবনাটাও কমে যাবে । 


টাইপিং মিসটেক জনিত ভুল , 

এই ধরনের বানান ভুল হয় না এসন কথা কেউ বলতে পাবে না । টাইপিং এর মিসটেক জনিত কারণে মাঝে মাঝে আরও ভুল হয় । এটা অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে লেখার কারণে হয়ে থাকে । তাড়াহুড়ো করতে যেয়ে , কি লিখছি সেটার দিকে খেয়াল থাকে না । শুধু খেয়াল থাকে সময়ের দিকে । এই সময়ের মধ্যে শেস করতে হবে । এরকম তাড়াহুড়ো জনিত ভুল প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কম বেশী হয়ে থাকে । 


বানান না জানা জনিত ভুল , 


অনেক সময় দেখ যায় যে আমি হয়তো এই শব্দ টার সঠিক বানান জানি না । তাই যে ভাবে মনে আসছে যা মনে আসছে তাই লিখছি । মনে রাখতে হবে বাংলা ভাষা আমার ব্যাক্তিগত সম্পদ নয় যে তাকে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করবো । 


কিছু নমুনা দেখুন , 

এম্নিতেই >> এমনিতেই 

এক্টা >>>একটা 


এমন অনেক বানান ভুল করে অনেকে লেখে । এগুলো আমি বিভিন্ন ব্লগে দেখেছি । 


বাংলা ভাষার চর্চা ব্যতিরেকে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লেখা সম্ভব নয় । তাই সবার কাছে অনুরোধ রইলো বানানের প্রতি যত্নবান হউন । এই ভাষা আমরা অর্জন করেছি ভাইদের রক্তের বিনিময়ে । আসুন আমরা সবাই বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং শুদ্ধ করে লেখার চেষ্টা করি ।


বানান বিড়ম্বনা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

লিখেছেন নির্বাসিত স্বপ্ন, রাত ১২: ৪৭, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Share


আমাদের যেন আর বিড়ম্বনার শেষ নেই। ঘরে ও ঘরের বাইরে যেখানেই থাকিনা কেন বিড়ম্বনা প্রতি নিয়ত আমাদের পিছু ধাওয়া করে বেড়ায়, আমরা যতই পালিয়ে বাঁচতে চাই ততই যেন বিড়ম্বনার ফাঁদে আটকা পড়ি। আগেকার সময়ে ক্যাসেট প্লেয়ারে যখন গান শুনতাম তখন প্রিয় গান বাজাতে গেলেই ক্যাসেটের ফিতা হুইলে আটকে যেত সে এক মহা বিড়ম্বনা তারপর এলো কমপেক্ট ডিস্ক বা সি,ডি। ভাবলাম এবার বুঝি ফিতা প্যাঁচানোর যাতাকলে আর পড়তে হবে না। কিন্তু না সেখানেও না ঝামেলায় পড়তে হয়। স্ক্র্যাচ পড়া সিডি ফিতা ছাড়াই আটকে থাকে! তেমনি ভাবে আমাদেরকে অনেক কিছুতেই আটকাতে হয়, হতে হয় নানাবিধ বিড়ম্বনার শিকার। ঠোঁট নেড়ে কথা বলতে গেলে আমাদের খুব একটা সমস্যা হয়না, কোন রকমে উচ্চারণ করতে পারলেই মুক্তি লাভ করা যায়। অনেকের উচ্চারণে আঞ্চলিকতার টান থাকে। আঞ্চলিকতার টান এড়াতে পারলেই হলো, না এড়ালেও সমস্যা নেই মনের ভাব ঠিকই প্রকাশ করা যায় কিন্তু মনের কথা গুলো কাগজে কলমে প্রকাশ করতে গেলেই বানানের ঝক্কি পোহাতে হয় রীতিমতো আমার মতো অনেককেই। মুখের কথা বাতাসে মিলিয়ে যায় বলেই হ্রস্ব ইকার দীর্ঘ ইকার বা তিন শ (শ, স, ষ) এর জ্বালাতন সহ্য করতে হয়না, কিন্তু লিখতে গেলেই আকার, ইকার, কিংবা তালব্য শ, না দন্ত স হবে তা কালির আঁচড়ে এঁকে দিতে হয়। তাইতো আমার মতো আঁকিয়েদেরকে অংকন করে দিতে গেলেই ন, স, হ্রস্ব ইকার, দীর্ঘ ইকার, যফলা বা সিঙ্গেল ডাবল অক্ষরে ফাঁদে আটকা পড়তে হয়। একসময় বলা হতো "ঘুঁঘুঁ দেখেছো ফাঁদ দেখোনি" কিন্তু আজকাল আমরা ম্যাগনিফাই গ্লাস ছাড়াই ফাঁদ দেখতে পাই কিন্তু ফাঁদ পাতানো ঘুঁঘুঁরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় অণুবীক্ষণ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও তাদের অবস্থানের লক্ষণ আমরা ঠেঁর পাইনা।


নব্বইয়ের দশকেও বিভিন্ন পেপার পত্রিকাতে দেখেছি 'সন্ধ্যা', 'পর্য্যন্ত', 'বিপর্য্যয়' লিখতে গেলে যফলার উপর নির্ভর করা হতো কিন্তু ইদানিং কালে সন্ধ্যা-তে কেউ কেউ যফলা ব্যবহার করলেও বাকি দুইটা শব্দ থেকে যফলাকে উষ্টা মেরে বের করে দেয়া হয়েছে। 'পর্য্যন্ত' এবং 'বিপর্য্যয়' আজ পুরোপুরি যফলা মুক্ত হয়ে অভিধানেও নিজের অবস্থান পাকা পোক্ত করে ফেলেছে। তবে 'সত্য'-তে যেমন যফলা আছে তেমনি আজও 'মিথ্যা'-তেও যফলা স্বগৌরবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। তেমনি ভাবে আরোও কিছু শব্দে যফলাকে যথাযত ভাবেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আমাদের প্রজন্মে যেভাবে যফলা খেদাও আন্দোলন শুরু হয়েছে সে আন্দোলন যদি বাঁধাগ্রস্থ না হয় তবে একদিন যফলা প্রজাতিটিকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে এটা নিশ্চিন্তেই বলা যায়।


সংস্কার শব্দটার সাথে আমরা বেশ পরিচিত। রাস্তা-ঘাট সংস্কার, বাড়ি-ঘর সংস্কার ইত্যাদি। মেরামতের বিকল্প বা সমার্থক শব্দ হিসেবে এই আধুনিক জমানায় সংস্কার শব্দটা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিছু দিন আগেও আমাদের মহান রাজনীতিবিদরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিল গুঁতো খেয়ে রাজনীতির পালেও সংস্কারের হাওয়া লাগিয়েছিলেন। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের বানান রীতিতে আজ পর্যন্ত কোন সংস্কারের হাওয়া লাগেনি যেকারণে কিছু কিছু কঠিন শব্দ সঠিক ভাবে আমার মতো অনেকেই লিখতে পারেন না বলেই পণ্ডিত মহলে তিরস্কৃত হতে হয় প্রায়শই। তবুও অনেকেই কোন রীতি রেওয়াজের তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো করে বুক ফুলিয়ে নানান শব্দের বানান নিজস্ব ষ্টাইলেই লিখে থাকেন। এক কালে আমাদের সামাজিক বন্ধন বড়ই সুদৃঢ় ছিলো। আমরা পাড়া প্রতিবেশীরা বেশ সহনশীল হয়ে সুখে দুঃখে একে অন্যের পাশে থাকতাম। কালের পরিক্রমায় আজ আমাদের সেই সামাজিক বন্ধন অতটা সুদৃঢ় না থাকলেও আমাদের বর্ণমালার অক্ষরগুলি আগের মতোই একে অন্যের ঘাড়ে শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারে। বিভিন্ন অক্ষরের এই পারস্পরিক সহযোগীতায় এখনো অনেক শব্দ ঠিকে আছে আগের মতোই কিন্তু 'ব' এর ঘাড়ে 'ব' বসাতে অনেকেরই আপত্তি দেখা যায় তাইতো 'সর্ব্বদা', 'সব্বাই' থেকে একটা 'ব'-কে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছে অঘোষিত ভাবেই। সান্ত্বনা শব্দের 'স' আর শেষ 'ন' এর মাঝখানে ঘেঁষা ঘেঁষি করে 'ন' 'ত' এবং 'ব' সমঝোতার ভিত্তিতে ঠাঁই করে নিয়েছে। এই তিনটি অক্ষর 'ন্ত্ব' একত্রিত হয়ে সান্ত্বনার মাঝে সান্ত্বনা দিতে চাইলেও এই যুগের অনেকের মনে অশান্তির সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পারত পক্ষে অনেকেই 'ন্ত' এর নিচে 'ব'-কে ব্যবহার করতে চাননা এখানে 'ব'-কে বাহুল্য মনে করা হয়। সান্ত্বনা থেকে 'ব' বিতাড়ন করলে সান্ত্বনাটা হালকা হয়ে গেলে অনেকেই হয়তো তাতে সান্ত্বনা পেতেন কিন্তু ঐতিহ্যে রক্ষার খাতিরে সান্ত্বনা'য় আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। 'দত্ত' বাবু সেই আদিকাল থেকেই 'ও' এর উপরে মাত্রার শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে জমজ 'ত'-এ রূপান্তরিত হয়ে যান। কিন্তু কোন অপরাধের শাস্তি স্বরূপ তিনি 'ব' হারা হলেন তা আমার বোধগম্য হয়নি। 'দত্ত' বাবু 'ব' বঞ্চিত হলেও 'সত্ত্ব'টা 'ব'-এর সত্ত্ব নিজের ভাড়ারে ঠিকই রেখে দিয়েছে। উচ্চারণের দৃষ্টিতে বিচার করতে গেলে দেখি 'ত্ত্ব' বা ত্ত এর মধ্যে কোন প্রভেদ খোঁজে পাইনা, দুজনকেই একই দৃষ্টিতে দেখতেই হয়। অথচ উল্লেখিত দুটি শব্দে 'ব'এর বন্টন যে দৃষ্টি কটু তা ক'জনের দৃষ্টিতে আঘাত হানে কে জানে। 


আমার মতো অনেকেই বানান বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আছেন। কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক তার নির্ধারণ করতে হিমশিম খেতে হয়। কেউ 'লিখেন', কেউ 'লেখেন', কেউ 'জিলা', কেউ 'জেলা' আবার বাংলার তিন অবস্থা দেখে (বাংলা, বাঙলা, বাঙ্গলা) আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি, অনেক সময় মগজ ঠিক মতো কাজ করেনা কখন কোন বাংলা'র প্রয়োগে কে আবার রাগ গোঁস্যা করে বসেন। কুমির/কুমীর, বাড়ি/বাড়ী, গাড়ি/গাড়ী, পাখি/পাখী এসব শব্দে হ্রস্ব ইকার ও দীর্ঘ ইকার অনেকটা ফ্রি ষ্টাইলে ব্যবহৃত হয়ে থাকলেও কারো মাথা ব্যথা খুব একটা চোখে পড়েনা। তেমনি ভাবে এলো/এল, ভালো/ভাল, জুতো/জুতা, অংগ/অঙ্গ, রং/রঙ, ঢং/ঢঙ, আজান/আযান, রোজা/রোযা, যাকাত/জাকাত, আহমদ/আহমেদ/আহম্মদ/আহাম্মদ, খোদা/খুদা সহ আরোও অনেক শব্দ আছে যা যে যার মতো করেই লিখেন থাকেন। বানান নিয়ে এতো জগাখিচুড়ি কারবার পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। কোন কোন পণ্ডিত ব্যক্তি হয়তো আমার দিকে তর্জনী উঁচিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বলতেই পারেন বানানের তারতম্য শুধু বাংলাতেই নয় ইংরেজীতেও দেখা যায়। আমিও স্বীকার করছি ব্রিটিশ ইংরেজীর সাথে আমেরিকান ইংরেজীর খুব অল্প সংখ্যক শব্দে বানানের এই হেরফের দেখা যায়। যেমন ব্রিটিশরা লিখেন Programme সেখানে আমেরিকানরা ওই বানানে ছুরি চাকু চালিয়ে কিছুটা হালকা করে লিখেন Program এমনি ভাবে ব্রিটিশের Licence আমেরিকানদের কাছে হয়ে যায় License, তেমনি করে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রিটিশ এবং আমেরিকানদের বানানে কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু ব্রিটিশ বা আমেরিকান পরিবারের সদস্যরা কি আমাদের মতো জনে জনে পৃথক পৃথক বানানরীতি আবিষ্কার করে যাচ্ছেন ইচ্ছে মতো ? সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরদের রক্তে প্রতিষ্ঠিত আমাদের এই বাংলা ভাষার বর্তমান বেহাল অবস্থা দেখে জানিনা তাদের আত্মা কেমন করছে।


এবার সঙ্গত কারণে ভাষা ও শব্দ নিয়ে কিছু শব্দ ব্যয় করতে ইচ্ছে করছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে তিনি তার কবিতায় অন্ত্যমিল সৃষ্টির লক্ষ্যে যুৎসই শব্দ যখন খোঁজে পেতেন না তখন তিনি নিজে নিজেই কিছু শব্দের সৃষ্টি করে গেছেন। তার সৃষ্ট শব্দাবলী আজ সর্বজন স্বীকৃত এমন কি অভিধানের পাতায়ও তার তৈরী করা শব্দ গুলো মর্যাদার সাথে স্থান করে নিয়েছে। তার জীবদ্দশায় তার সৃষ্ট শব্দাবলীর বিপরীতে কেউ তর্জনী উঁচিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায়নি আর এই সময়ে ত তিনি ভগবানের কাতারে চলে গেছেন তিনি রীতিমত পূজনীয়। তার বিপরীতে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ পন্ডিত বহু ভাষাবিদ ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র নাম এপ্রজন্মের কতজন ছেলে মেয়ে জানে তা প্রশ্নের বিষয়। অথচ তিনিই বাংলা ভাষাকে সর্বাধিক সমৃদ্ধ করে গেছেন, এই সত্যটা কি কেউ অস্বীকার করার ক্ষমতা রাখে ? ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আজ কেবলই ইতিহাসের পাতায় আছেন কিন্তু আমাদের প্রজন্মের মনের মধ্যে নেই। ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছাড়াও ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন, ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ডঃ প্রবোধ চন্দ্র বাগচি, ডঃ রাহুল সাংকৃত্যায়ন, ডঃ সুকুমার সেন, ডঃ মনীন্দ্রমোহন বসু, ডঃ শশীভূষণ দাশগুপ্ত, ডঃ তাঁরাপদ মুখার্জী, ডঃ অতীন্দ্র মজুমদার প্রমূখ পণ্ডিত ব্যক্তিরাও বাংলা ভাষাকে তাদের সময়ে নানান ভাবে সমৃদ্ধ করে গেছেন কিন্তু তাদের নাম মুখে আনতে আমরা বরাবরই হীনতার পরিচয় দিয়ে আসছি। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হয়তো সে অর্থে হয়তো তেমন কোন নতুন শব্দের সৃষ্টি করে যান নি। তবে তিনি যা করে গেছেন তা-ই হলো একটা ভাষা সমৃদ্ধ করার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। আমরা সবাই জানি সংস্কৃত ভাষার গর্ভেই বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে। পৃথিবীর কোন ভাষা-ই কোন একজনের হাত ধরে সৃষ্ট হয়নি। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার সমন্বয়ে একটা ভাষা গড়ে উঠে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ব্যবহৃত একমাত্র ভাষা হলো ইংরেজী। আমরা এই ইংরেজী ভাষাতেও ল্যাটিন, স্প্যানিশ, গ্রীক, পর্তুগীজ সহ অনেক ভাষার সংমিশ্রণ খোঁজে পাই। এভাবেই পরিপূর্ণ হয়ে উঠে একটা ভাষা। কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলীতে আমরা বিভিন্ন ভাষার সমন্বয় দেখেছি। বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের মতো আর কোন কবিই এখন পর্যন্ত এতো সংখ্যক ভিনদেশী ভাষার সংমিশ্রণ করার ক্ষমতা দেখাতে পারেন নি। অথচ এই মহান কবিকে আমরা বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদ আর জাতীয় কবির খেতাব দিয়েই যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন যে যার মতো করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম দিন কিংবা মৃত্যু বার্ষিকী পালন করলেও সরকারী ভাবে পালন করা হয়না জাতি হিসেবে এর চাইতে লজ্জার আমাদের আর কি হতে পারে ?


নতুন শব্দ তৈরীর বিপক্ষে আমি নই। ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ব্লেন্ডার, ওভেন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারসহ আমাদের ঘরে নিত্য ব্যবহার্য্য অনেক যন্ত্র আছে যেগুলোর সঠিক বাংলা এখনো আমরা করতে পারিনি, এসব যন্ত্রকে চিহ্নিত করতে এখনো আমাদেরকে ভিনদেশী ভাষার উপর নির্ভর করতে হয়। টেলিভিশনকে কেউ কেউ দূরদর্শন যন্ত্র বলে চালাতে চান কিন্তু দূরদর্শন শব্দটা ত হিন্দী। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন ভারতের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের নাম দূরদর্শন। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি যদি ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে এই বঙ্গদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কেউ কি আমাকে বুঝিয়ে বলবেন ডিজিটালের প্রকৃত বাংলা কি ? কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি আরোও শ'খানেক সমার্থক শব্দ তৈরী করে যেতেন তাহলেও কারো মাথা ব্যথা হতো না। বর্তমান যুগের বড় বড় ডিগ্রিধারীরাও যদি কোন প্রচলিত শব্দকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এদিক সেদিক করেন তাহলেও কারো মাথা ব্যথা দেখিনা বরং তারা বাহবা পেয়ে থাকেন কিন্তু আমার মতো স্বশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত কেউ যদি কোন বাক্যে প্রীতিভাজনের স্থলে প্রিয়ভাজন শব্দ ব্যবহার করে তবে অনেক প্রিয়জনেরও রোষানলে পড়তে হয়। এর একটাই কারণ আমার ভাড়ারে বড় বড় বিদ্যার ছাড়পত্র নেই আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে বাংলা বর্ণমালার আবিষ্কারক শ্রী পঞ্চাণন কর্মকারের ভাড়ারে কতটা ডিগ্রির সার্টিফিকেট ছিলো। আমার শ্রদ্ধেয়/শ্রদ্ধেয়া বিদগ্ধ পাঠক বন্ধুগণের কাছে অবোধের মতোই এই প্রশ্নটা রেখে গেলাম আশা করি কারো না কারোর কাছ থেকে উত্তরটা পেয়ে যাবো। 


আমরা যদি অঞ্চল ভিত্তিক বা আঞ্চলিক ভাষার প্রতি নজর দিই তাহলে দেখা যায় চট্টগ্রামের লোকজন 'র'-কে সাধারণত 'ল' উচ্চারণ করে থাকেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমি বছর তিনেক আগেও পেশাগত কারণে প্রায়ই চট্টগ্রামে যেতাম। একবার চট্টগ্রামে গেলে কোন এক দোকানে একটা "রেড লিফ" কলম কিনতে গেলে দোকানী জানালেন তার দোকানে এই ব্র্যান্ডের কলম নেই। তখন পাশ থেকে একজন ভদ্রলোক 'লেড লিফ' উচ্চারণ করায় দোকানী আমাকে বললেন লেড লিফকে আমি রেড লিফ বললাম কেন ? আমি কোন মতে কলমটা কিনে কেটে পড়ি। নোয়াখালীতে 'প'-কে সাধারণত 'হ' বলা হয়। যেমন শুদ্ধ বাংলায় 'পানি' আর নোয়াখালীর ভাষায় সেটা হয়ে যায় 'হানি'। একবার অন্য কোন এক জেলার ভদ্রলোক প্রথমবার নোয়াখালীতে গেলেন নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখলেন 'প'-কে 'হ' বলা হচ্ছে। একদিন তিনি কাঁচা বাজারে গেলেন তরকারী করতে। তরকারী কিনতে গিয়ে তিনি পড়ে গেলেন বেশ ঝামেলায়। কারণ ভদ্রলোকের স্ত্রী বলেছেন পেঁপে কিনে আনতে। তিনি খানিক্ষণ ভেবে তরকারী বিক্রেতাকে বললেন 'ভাই আমাকে এক কেজি হেহে দিন'। আমরা যদি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার দিকে লক্ষ্য রাখি তবে সেখানে দেখা যায় ক এবং খ, গ এবং ঘ, ত এবং থ, দ এবং ধ এসব অক্ষরের উচ্চারণগত কোন তফাৎ নেই। তবে ক্ষেত্র বিশেষে 'খ' এর উচ্চারণ এমন ভাবে করা হয়ে থাকে যা প্রকৃত বা জন্মগত সিলেটি না হলে তার পক্ষে উচ্চারণ করা খুবই কষ্টসাধ্য। সিলেটের কোন এক স্কুলে ভিন্ন জেলার এক শিক্ষক ছাত্রদেরকে ইংরেজী পড়াচ্ছিলেন। শিক্ষক মহোদয় ক্লাসের মধ্য থেকে একজন ছাত্র দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন...

শিক্ষকঃ বলতো বাবা Horse এর বাংলা কি ?

ছাত্রঃ গুরা।

শিক্ষকঃ গুরা !! আচ্ছা। এবার বলো Turn বাংলা কি ?

ছাত্রঃ গুরা।

শিক্ষকঃ (কিছুটা রেগে বললো) তাহলে Powder এর মানে কি ??

ছাত্রঃ গুরা।

শিক্ষকঃ (এবার পুরোপুরি রেগে গিয়ে বললেন) সব কিছুই কি গুরা নাকি ???

ছাত্রঃ না স্যার, একটা চড়ার গুরা, একটা মুরাইন্না গুরা, আর শেষের টা একদম গুরা-গুরা !!


একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার কেবল সিলেটের আঞ্চলিক ভাষাতেই নয় বরং বিশ্বের অনেক ভাষাতেই দেখা যায়। আমরা যদি ইংরেজী ভাষার দিকে তাকাই তাহলে দেখি সেখানে How শব্দটা বাক্যের উপর নির্ভর করে কেমন, কিভাবে, কত অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর আমাদের বাংলা ভাষায় আমার জানামতে চোখের সমার্থক শব্দই আছে সাতটা অক্ষি, আঁখি, চক্ষু, চোখ, নয়ন, নেত্র, দৃষ্টি। পানির সমার্থক শব্দও নেহায়েত কম নয় পানি, জল, বারি, নীর, সলিল ইত্যাদি। তেমনি ভাবে অন্যান্য শব্দের সমার্থক শব্দও সীমাহীন। আমার ঝাপসা হয়ে যাওয়া স্মৃতি থেকে যতটুকু মনে পড়ছে তা হলো অনেকের মতো আমিও স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখার আগেই ঘরে বসেই আদর্শ লিপি পড়েছিলাম। যেখানে একই 'ব'-কে দুইবার ব্যবহার করা হয়েছিলো। যেমনঃ প,ফ,ব,ভ,ম আবার য,র,ল,ব,শ। এই ব-এর বাহুল্যতা কচি বয়সেও আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলিছিলো। যদিও এখন প্রথম সারির 'ব' ঠিকে থাকলেও দ্বিতীয় সারির 'ব'-কে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলা হয়ে গেছে। আর 'ঋ' এর পরে কাঠ বিড়ালীর লেজের মতো '৯' "লি" আমাদের বর্ণ মালা থেকে উধাও হয়ে গেছে কারণ ছাড়াই। কঙ্গোর বর্ণমালাতে মাত্র ১১টা অক্ষর আছে। এই ১১টা অক্ষর দিয়ে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে কঙ্গোবাসীদের কোন সমস্যা হয়না। অন্যদিকে পাঁচ লক্ষ্যেরও অধিক শব্দের ভাষা ইংরেজী। এই ইংরেজীতেও মাত্র ২৬টা অক্ষর আছে। অথচ আমাদের বর্ণমালাতে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিয়ে আছে ৪৯টি শুধু তাই নয় আকার, ইকারসহ ও বিভিন্ন যুক্তাক্ষর গণনায় যুক্ত হলে এই সংখ্যা সেঞ্চুরী হাঁকাতে পারে। যে কারণে আমাদের বাংলা বর্ণমালার অক্ষরগুলি শতকরা ৮০জন ক্রমানুসারে বলতে পারেন না। বিশ্বাস না হলে আপনি একটা জরিপ চালিয়ে দেখে নিতে পারেন। অথচ যে কেউই ইংরেজী বর্ণমালার A থেকে Z পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে বলে দিতে পারবে এটা কি আমাদের জন্য লজ্জাজনক নয় ?


আমি লিখতে বসেছিলাম বানানের প্রচলিত সমস্যা নিয়ে তাই এই নোটের শিরোনামও ঠিক করেছিলাম "বানান বিড়ম্বনা" কিন্তু লিখতে বসে বানান বিড়ম্বনার বাইরেও প্রসঙ্গক্রমে অনেক বিষয় যুক্ত হয়ে গেছে। তাই শিরোনামও পাল্টে দিয়েছি। অনেকেই হয়তো আমার এই নোটের ঘোর বিরোধীতা করতে পারেন যথার্থ কারণেই। আমার এই নোট হয়তো অনেকের কাছে পীড়াদায়ক হতে পারে তাই আমি তাদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আশা করি আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বরাবরেই মতোই। তবে শেষ কথা যা বলতে চাই তাহলো আমরা এই বানান বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি চাই। আমার বিবেচনায় বানানের এই জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা পথ খোলা আছে আর তা হলো, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, এবং শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সর্ব সম্মতিক্রমে এক বানানরীতি ও তার ব্যাকরণ তৈরী করবেন। এবং বানান বিড়ম্বনা এড়াতে প্রয়োজন সাপেক্ষে কিছু অক্ষরও বাদ দেয়া যেতে পারে। যাতে তিন 'শ' (শ, ষ, স) তিন 'জ' (জ, ঝ, য) তিন 'অ' (অ, ও, য়) দুই 'ন' (ন, ণ) দুই 'ত' (ত, থ) ইত্যাদি এসব ছাড়াও আকার, ইকার, হ্রস্ব ইকার, দীর্ঘ ইকার, হ্রস্ব উকার, দীর্ঘ উকার, ঋকার, একার, ঐকার, ওকার, ঔকার, যফলা, রফলা, রেফ নির্ধারণে যেন আমাদেরকে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়। বানানের এসব জটিলতা দূর করা গেলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আরোও উন্নত হতে সহায়ক হবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ শিক্ষিতরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে নিজের মনে ভাব প্রকাশ করতে পারবে।

Wednesday, February 24, 2021

Passage Narration ins and outs




 Narration - Is a Noun. Which means simply  Narrate something. Synonym of this word is speech. 


 Today Our main target is - Passage Narration. 


Passage narration means Narration in a broader sentence.   Or more easily a passage contained about various speeches between two person or more. We may say "Dialogue but as form in a passage" 


Difference  Between Narration and Passage  Narration. 


1. Sentence =  Simple Narration also called sentence Narration.  Which contains only one sentence.  / In passage Narration there are several sentence.  

2.Speaker one person and also   single  category sentence  /  speaker and listener  can be two or more and several categories sub, tense mixed there. 


* Focus First.

1. Have to know all sentence / simple narration rules. Cause its not a different item.


2. First read whole passage and identify speaker and listener( who will also act as a speaker next.)


3. Identify sentence and tense.

Passage narration


Rules1.

if there are more than one sentence in direct narration. They should be added with some phrases, given below.


*Assertive sentence  - Further said / also said /again said,  further added /added/ also added.etc. In a single sentence we just use "said".


*Interrogative - also asked / further asked / again asked etc. 


*Imperative - and ordered to,  and requested to

 

*Optative - and wished that / and prayed that etc.


*Exclamatory  - and exclaimed with happiness/ exclaimed with joy / exclaimed in grief / exclaimed with sorrow. etc.


Example -  "You can go home now. you may come tomorrow" said My Aunty. "Thank you" I said. (Direct)

= My Aunty told me that I could go home then and she added that I might come the next day.


Rules 2

If the reporting verb of direct narration is placed in the middle or last of a sentence, you should put them after sub in  indirect narration. Example is mentioned before. 



Rules-3 

Very simple rules - you should use replied in the affirmative for "yes" and replied in the negative for "No".

More clearly,  if  in a reported speech has "yes"  or "no", change them with "replied in the affirmative" and "replied in the negative"


Example-   "Have you done your project?"  I said to her. "Yes" she said. (Direct)


Indirect - I asked her if she had done her project. She replied in the affirmative. 


Rules-4 

When someone will be addressed in a reporting speech, ( it will be placed  inside an inverted comma)  you should use "addressing as' ' before the person addressed. 


Example -

"Are you reading, friends?" said Tonni. (Direct)

Addressing them as friends, tonni asked if they were reading. (Indirect) 


Rule-5

Use Swearing by Allah instead of "by Allah".


Example- 

D- " By Allah",he replied, "I will not leave this house. "

 Ind- Swearing by Allah, he replied that he would not leave that house.


Rule -6

When there will be an interrogation mark(?)  in assertive sentences. Use "being surprised" before reporting verbs  in an indirect speech.


Example- 

I said to him, " Have you   remembered the story?" (Direct)


Ind -Being surprised, I asked him if he had remembered the story. 


Rule -7

Most important rule to remember. 

*If any part or phrase of  reporting verb is placed outside of the inverted comma and if the phrase is present participle,  then while converting indirect speech use the phrase before sub in a sentence or initial part of a sentence. 

N.B - present participle ( verb+ing). 

 

Example- "Are you brothers?" asked the mistress of the house, turning to the dervishes.(direct)


Ind- Turning to the dervishes, the mistress of the house asked if they were brothers.

Saturday, February 20, 2021

Article on Spoken English

 

Spoken English


Being a national, English has not been easy for me. It Is the truth that English plays a vital role these days in communication as much as out local language. It is also an important factor for education. Even though there is no limitation when it comes to knowledge, however it does come in handy to make somethings a lot easier. The fundamental factor of spoken English is to spread your wings to a wider range. Maybe all these words may be a little terrifying let me tell you a story about something that happened to me a long-time ago. I was naturally a poor student but when I get things right which was not often, I used to gest very defensive about myself. It happened so that I had to get my copy checked and I bought a friend copy along with me too. When I had to start describing my quarry, I couldn’t speak more then a hand full of words. I stammered and couldn’t find the right words had to think about whether it was has or had or either or neither it was so embarrassing to talk like that in front of my teacher and some girls who gave me a disguised look. There us this feeling that you go on the pit of your stomach when things get so embarrassing that you can’t even lift your face. And that feeling let me to run home after classes end and start watching English movies. After a month or two I started reading books and after that I got pretty fluent in English impressing the strangest of people.

So, if your reason is to prove yourself stop stammering and start impressing the crowd so be it. But one should not underestimate the power of hard work. Because it was hard work to watch more then 500 movies to get where I am. After almost 100 books and tons of articles later I found my voice of confidence. And how can we not ignore the impression we make of us to another person when we converse. It feels sweet when the result of all the work turns into an achievement that lasts a long time. You see it’s not the language that gives you the confidence it’s the dare you gain by facing someone. let’s not even get started on the benefits of it in the academic and professional life. 

The survey says that people who speak English fluently ha more job opportunities. How would it feel like to lose a job over this? You may have first class first you may be brilliant at your job even better than all the other applicant of this job but losing it over something as this must be very embarrassing. Even in university you need to speak good English for good presentation. A business man can access far wider range of customers using English. It gives a kind of confidence to people about he compony. It gives an international vibe and also makes someone think about foreign customers.

And it makes it easier to travel. Because in the countries that are really big on tourism consider English as their first language or second language. It is a must in many organizations as to the availability of international students. The world gets more diverse the nation also starts to evolve so as to bring a community or nation together and working together may help in a lo of situations that we may not even think of. 


Spoken tips

 Article

            The Journey of Improving My Spoken English 


“The limits of my language mean the limits of my world.”


Learning to speak English has made life easier as well as it has opened a window of opportunity to blend in with those who speak it and helped to understand their culture. The significance of learning to speak English has eliminated the communication gap with the people I get to talk to. There are more perks that have been gained through this process.


In order to learn English, engaging in reading and listening is a perfect way to improve your ability to comprehend English spoken around you. Over time, you'll also become a lot better as a reader, and it'll probably extend your passive English vocabulary.


You need to be as good at communicating as you are at reading and listening. There's no better way to gain fluency in English than to re-read and re- listen to things you find interesting. Research has shown that children who read the same bedtime story repeatedly learn new vocabulary words much more quickly than their peers who read a new story each time. You can only recycle pieces of English information by actively passing the information on.


You can retell any kind of articles or stories that you find intriguing and that are of good value to others. In order to become part of the active vocabulary, memorize phrases and expressions. A good dose of chatter will help you improve the ability to engage with others. You will practice your spoken English in this way, incorporating more words, collocations, phrases and idioms.


Therefore, the approach can be dynamic to establish spoken English but this was my journey through which I successfully became fluent in spoken English, overtime as it is a skill that takes time and effort to learn. Hence, put your effort and keep your determination strong as it will only bring you benefits and make your life simple.

Friday, February 19, 2021

IELTS toptip

 Hello Everyone. 

Most people are aware that passing their IELTS (International English Language Testing System) exam, is a great way to establish your proficiency of the English language for academic or employment purposes. However, what many people don't realize is their IELTS test scores are also used for immigration purposes by government agencies, for registration purposes.


You should know the score you'll need to achieve in order to fulfill your employment or academic requirements.


However, people tend to overlook some of the added benefits they gain by spending more time preparing for the IELTS exam to attempt to achieve an even higher score than they actually need.


Some of the more common benefits include:


1.Your knowledge of the English language is better. When prepping for your exam, you become more familiar with the level of English required for academic and employment purposes.


2.Your English language skills are assessed objectively. Maybe your co-workers, friends or family have told you that you speak and write English rather well. This type of feedback tends to be more subjective, so you truly don't have a good idea of your actual abilities. Preparing for the exam and taking it, provides you with an objective assessment of your English language skills.


3.All of your English language skills are improved. Many people tend to fair better in certain areas of the English language over other areas. However, the IELTS exam tests all four: Reading, Speaking, Writing, and Listening. In order to pass the exam, you have to practice in all four areas, and through your preparations, become improved.


4.The IELTS exam helps you set clear goals and motivates you to study harder. When you lack clear objectives and goals, it's easy to not study as hard, or wait until the very last minute. With the IELTS exam, the goals are clearly defined so it helps motivate you to study daily, which also improves your English skills.


5.Passing the IELTS exam results in a certification recognized worldwide. Numerous government agencies, universities, employers, and other institutions accept IELTS exam results and recognize the importance of the certification you receive for passing.


Thus the preparation of IELTS examination can help anyone to improve overall English language by improving four basic skills which are reading, writing, speaking and writing.


That's all for today.

Thank you.

IELTS Reading Tips

 IELTS: Reading. Some Pointers.


International English Language Testing System or IELTS is currently one of the most relevant English language proficiency tests in the world. Especially in Asian countries an IELTS certification is required whenever someone chooses to study abroad. On the scale of different proficiency tests, IELTS is on basic difficulty but still sometimes the questions might be a bit tricky. For IELTS you will be marked on four areas: writing, reading, listening and speaking. From personal experience, the reading part is definitely where things can get a bit tough. For example, the questions might ask something that’s not in the text at all! But you have to get it from the context. There are several other ways to impede an examinee but fear not! Here are some things you can keep in mind while preparing for the test:


The reading part is the second part of IELTS. There’s one hour of completion time and three(sometimes four) sections with a total of forty questions. The questions will be of these types: multiple choice, true or false, matching, completion or summary, questions with short answers. It is advised to take no more than 20 minutes on each part. Once you,ve got the question, write down the answers directly onto the answer sheet. Here are some tips to help you prepare for the test:


Improve Your Vocabulary: You will need to enrich your vocabulary in order to have control over your understanding in the reading test. It’s okay to start small. Try learning at least 10 words per day, every day upto your test date. Try incorporating these words into your daily life so they become part of your regular vocabulary. Try writing the words down again and again so you don’t mess up the spelling.


Read more: Read through every text, newspaper, magazine, textbook you can get your hands on. This not only improves your reading speed but also allows you to see use of new words in different ways. 


Time Your Reading: Set a timer every time you read a text so you can measure how long it takes you to read something then try to improve on that time. Fast reading and comprehension are needed to get good grades on your reading test.


Take Quizzes: Take quizzes on general knowledge and other current events to check how much you know about what’s going on in the world at present. Chances are the questions or the passages might be on one of these current occurrences.


Take Practice Tests: Practice tests will let you see how much you’ve improved and what your projected score is. Many apps found on playstore under British Council contain practice tests that will grade you.


Now here are some things you might want to keep in mind during the test:


Skimming Through All the Questions: When you receive the question paper be sure to quickly read through the entire paper so you can mentally prepare yourself for the test.


Double check the passages: Read through the passage at least twice to make sure you’ve got the right idea of what the question is asking for and what is given in the passage.


Check for Spelling Mistakes:  Always make sure your answer is free of any errors.


Read In Between the Lines: The passages or graphs given might not directly contain the answers you’re looking for but they will indicate to the right answer. Just be very attentive so you can catch the meaning behind what you’re reading.


Read Your Answers Out Loud: Hey not too loud! You could get in trouble for that. What I mean is: read the answers to yourself. Just loud enough for you to hear. This will let you connect between the passage given and your answers.


Be confident: Be sure of yourself! You spent so long preparing for this, are you just going to let some last moment panic mess this up for you? No! Stay focused and calm and just try your best.


At the end of the day, language proficiency tests are just to show you your competence in a certain language. You can always improve and try again. Practice as much as possible and take many tests. The IELTS score merely lets you know which areas you need to improve in. Well that’s pretty much it when it comes to advice. Now the rest is up to you.

 Good luck!

  

Thursday, February 18, 2021

Preposition with H, I, J, K

 



Appropriate Preposition with H I J K

H

1. Hanker after (লোভ করা): We should not hanker after riches.

2. Hatred for (ঘৃণা): I have no hatred for anyone.

3. Hard of (কানে খাটো বা কম শোনা): Ruby is a hard of hearing.

4. Heir of (উত্তরাধিকারী): He is the heir of his father.

5. Heir to (উত্তরাধিকার পাওয়া): He is an heir to a vast property.

6. Hope for (আশা করা): Let us hope for the best.

7. Hostile to (বিরোধী বা বিরূপ ভাবাপন্ন): Nobody is hostile to you.

8. Hunger for (আকাঙ্কা): The teacher has a great hunger for knowledge.

I
1. Identical with (একই ধরণের): You are identical with you brother.

2. Ignorant of (অজ্ঞ, অবিদিত): I was ignorant of his miseries.

3. Indebted to (ঋণী): We are indebted to the great leaders of the country for their service.

4. Informed of (অবহিত): I was not informed of your misfortune.

5. Innocent of (নির্দেশ): The maid servant was proved innocent of the alleged theft.

6. Inquire of, about, into, after (অনুসন্ধান করা): Rahi inquired of me about my father’s health. The police will inquire into the cause of fire. Mehjabin inquired after her friends.

7. Invite to (নিমন্ত্রণ করা): Only the elite will be invited to the meeting.

8. Ill with (অসুস্থ): He is ill with fever.

9. Indifferent to (উদাসীন): Everybody is indifferent to my problem.

10. Indulge in (প্রশ্রয় দেওয়া): You should not indulge in idleness.

 

11. Insist on (জিদ করা): He insisted on my going to cinema.

12. Involved in (জড়িত): He is involved in the plot.

13. Inferior to (হীন): He is inferior to his neighbour.

14. Irrespective of (নির্বিশেষে): All were invited to the party irrespective of color, class, and creed.

J
1. Jealous of (ঈর্ষাপরায়ণ): Women are generally jealous of one another.

2. Junior to (নিম্মপদস্থ): Mr. Kalam is junior to me in work experience.

3. Justice to (ন্যায় বিচার): We should do justice to everybody.

K
1. Key of, to (চাবি, সমাধানের উপায়): This is the key of the Almirah. I have found out the key to the solution of this problem. Industry is the key to success.

2. Knock at (ধাক্কা দেওয়া): Do not knock at the door suddenly.

3. Keep up with তাল মিলিয়ে চলা I don’t think you can keep up with me

4. Knack for দক্ষতা The girl has knack for communicating.


5. Kin to আত্মীয়/ কুটুম She was kin to the Queen of England.


6. Knockout দেখতে অনেক সুন্দর You are a knockout.

7. Knock down আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়া I was nearly knocked down by the car.

8. Knock over আঘাত করা A boy on a bike knocked him over and broke his glasses.




Poem: Two mothers remembered

 Two Mothers Remembered Joann Snow Duncanson I had two Mothers two Mothers I claim Two different people, yet with the same name. Two separat...