Brilliant student ভালো ছাত্র

 


🔵ভালো মানুষ + ভালো ছাত্র+ ভালো রেজাল্ট:

* নৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন, ধর্মীয় আদর্শে উজ্জীবিত সাদা মনের মানুষই ভালো মানুষ। 

*বিষয়ভিত্তিক বিশুদ্ধ জ্ঞান, মজবুত বেসিক Basic (ভিত্তি), গভীর মনোযাগ, বুঝে পড়া ও বারবার অনুশীলনই ভালো ছাত্র তথা মেধাবী ছাত্র হিসেবে গড়ে উঠার মোক্ষম হাতিয়ার। 

সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ প্রায়ই তাদের প্রিয় সন্তান- সন্ততির ব্যাপারে পরামর্শ চান, তাদেরকে নিয়ে আসেন। 

অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় অনেক শিক্ষার্থী বেশ দ্রুত কোন বিষয় বুঝতে পারে, বাবা-মা আহ্লাদে আটখানা এবং শিক্ষকরাও সুপারিশ করেন খুবই মেধাবী, হেনতেন। কার্যতো লবডঙ্কা। 

পরীক্ষায় কাংখিত নম্বর বা গ্রেড অর্জন করতে পারেনা। ঐ যে বললাম অনুশীলন বা চর্চা সেটির বড় অভাব। অনেকের স্মৃতিশক্তি তথা মুখস্থ করার সামর্থ্য অন্যদের তুলনায় একটু কম। দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। বুঝে বুঝে দেখে দেখে লেখার অভ্যাস এ সমস্যার অনেকটা সমাধান করতে পারে। ব্রিটিশ কাউন্সিল/ ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থায় এটি হামেশাই করানো হয়। উপরুন্ত একজন অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষক হতে পারেন পথপ্রদর্শক। 


*প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম

পৃথিবীর সবকিছু এখন বদলে গেলেও, কিছু কিছু জিনিস কিন্তু এখনো আগের মতোই আছে। আপনারা যে মানসিক দক্ষতা, গাণিতিক যুক্তি, সমস্যা সমাধানের কৌশল, যোগাযোগ দক্ষতা, টিমওয়ার্ক নিয়ে জ্ঞানার্জন করেছেন তা কিন্তু অসাধারণ। ৩০ বছর আগে এগুলো ছিল সফলতার সূত্র। মানুষকে সফল হতে হলে এসব দক্ষতা প্রয়োজন ছিল। আগে এসব গুণ সফলতার পথ নির্মাণ করত। আর এখন মানুষ এসব দক্ষতা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে। ইন্টারনেটের কারণে আপনারা আগে থেকেই সব জানতে পারেন; কিন্তু তারপরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের দক্ষতা আর গুণ মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে। নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তুলতে একাগ্রতার বিকল্প নেই। আমরা শিক্ষা ও কর্মজীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা শিখেছি তার থেকে কিছু কথা আপনাদের উদ্দেশে তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র। 

১. কঠোর পরিশ্রম করুন : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে কোনো মানুষের জন্ম হয় না। কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়ে নিতে হয়। পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে। উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমের সমষ্টিই সৌভাগ্যের চাবি কাঠি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজও সহজ হয়। জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনো তার ভাগ্যকে গড়ে তুলতে পারেনি। কঠোর পরিশ্রমই হলো উন্নতির চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। আপনি যে কাজ একবার শুরু করবেন, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত হবেন না। সফল হওয়ার ইচ্ছা আর পরিশ্রম দিয়ে সেই কাজ করে যান। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মস্থলে, পেশাজীবনে, খেলাধুলায় সব জায়গায় অনেক প্রতিভাবান লোকের দেখা মেলে। কিন্তু মনে রাখবেন, প্রতিভা দিয়েই সব হয় না। সফলতার জন্য প্রয়োজন প্রচ- ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। সাফল্যের দরজায় জোরে ধাক্কা দিন। যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী হন, তাহলে আপনার একাগ্রতা আর পাগলামি আপনার দলের অন্যদের উৎসাহ জোগাবে। বড় কিছু অর্জনের জন্য যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করে যান।


২. নিজের কাজ বুঝে নিন : আপনাকে অফিসের কী কী কাজ করতে হবে, কীভাবে করতে হবে তা প্রথমে জেনে নিন বুঝে নিন। তাহলে সহজে তা সম্পন্ন করতে পারবেন। সব পেশার ক্ষেত্রেই দেখতে সুন্দর গোছানো ও কাজকর্মে পরিপাটি হওয়াটা একটা বাড়তি গুণ হিসেবে কাজ করে।

৩. নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞানার্জন করুন : যে কাজটি করবেন তা সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে কাজ করলে সফল হওয়া যায় না। মহান আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা ‘হে নবী! আপনি বলে দিন, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে?’ না কোনো ক্ষেত্রেই সমান হতে পারে না। তাই আপনাকে সাধারণ জ্ঞান, মৌলিক আদর্শের জ্ঞানসহ পেশার জ্ঞান সম্পর্কে শ্রেষ্ঠত্ব বা উত্তমদের কাতারে শামিল হতে হবে। আপনি যে পেশারই হোন না কেন, আপনাকে সেই পেশার জ্ঞানার্জন করতে হবে যথাযথভাবে। পেশার জ্ঞানকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর জন্য এর যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে। তাহলে আপনার পথ চলা সুদৃঢ় ও পদঙ্খলন মুক্ত হবে। জ্ঞানের ব্যপ্তি ও গভীরতা থাকা আপনার জন্য একান্ত আবশ্যক।


৪. প্রস্তুত থাকা : সবসময় কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কাজের রুটিন তৈরি করতে হবে। আপনি কোনো কাজ, কখন, কীভাবে করবেন তার জন্য তালিকা তৈরি করে নিন।

৫. নিজেকে গুছিয়ে নেয়া : যতটা পারেন বেশি করে নিজেকে গুছিয়ে নিন। এতে আপনার কর্ম পরিবেশ সুন্দর হবে, কর্মস্পৃহা বাড়বে। বছরের শুরুতেই একটি বা দুটি ক্ষেত্র বেছে নিন যেগুলোর প্রতি সারা বছর বিশেষ মনোযোগ রাখতে পারবেন।


৬. শুরু থেকেই সক্রিয় থাকা : যে কোনো পেশায় কাক্সিক্ষ উন্নতির জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং পর্যায় ক্রমে তা বাস্তবায়ন। এজন্য আপনাকে বছরের শুরু থেকেই হতে হবে সজাগ ও সক্রিয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ পেশাজীবন। তাই প্রতিদিনই আপনার কর্মস্থল নিয়ে ভাবুন, নিজের নেতিবাচক অভ্যাসগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন, নিজেকে প্রস্তুত করুন, পেশাগত নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করুন।


৭. সঠিকভাবে ও পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা : সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কাজটি করা। আপনার করণীয় কাজগুলোকে গুরুত্বের ক্রমানুসারে সম্পন্ন করুন। প্রতিদিন সকালে কাজের একটা তালিকা করে ফেলবেন, তারপর গুরুত্বের ক্রম অনুসারে সাজান। প্রতিটা কাজ করতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে সেই অনুযায়ী পাশে বরাদ্দ সময় লিখুন। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে কাজ করতে শিখুন এবং কাজ শুরু করুন। কারণ আপনার কাজের যদি কোনো টাইমলাইন বা সময়সীমা বেঁধে দেয়া না থাকে তাহলে কখনো আপনি এটা সম্পন্ন করতে পারবেন না। তারপর ক্রমানুসারে কাজ শেষ করুন। দেখবেন আপনার সকল কাজ সঠিকভাবে শেষ হয়ে গেছে। সফলতার জন্য দক্ষতার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু দক্ষতা বিষয়টি অনেক ব্যাপক এবং একটি দক্ষতা, আরেকটি দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। আপনি শুধু একটি বা দুটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে সাফল্য লাভ করবেন, এটা মনে করা ঠিক না। সাফল্য লাভ করার জন্য যত বেশি দক্ষতা অর্জন করা যায় ততই ভালো। আর এজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি কাজ করা।


৮. গুরুত্বের ক্রমানুসারে কাজ করুন : আপনার করণীয় কাজগুলোকে গুরুত্বের ক্রমানুসারে সম্পন্ন করুন। প্রতিদিন সকালে কাজের একটা লিস্ট করে ফেলুন, তারপর গুরুত্বের ক্রমানুসারে সাজান। প্রতিটা কাজ করতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে সেই অনুযায়ী পাশে বরাদ্দ সময় লিখুন। তারপর ১নং কাজ শেষ না করে কিছুতেই ২নং কাজে যাবেন না। ক্রমানুসারে কাজ করুন।

৯. কাজ করার দক্ষতা অর্জন করুন : উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অনেককেই একসাথে অনেক কাজ করতে হয়। আপনার কার্যক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ সাজিয়ে নিয়ে সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আরও বেশি কাজ সম্পন্ন করুন। দেখবেন আপনার কার্যক্ষমতা বেড়ে গেছে।


১০. সময়মত উপস্থিতি : আপনার প্রথম কাজই হলো ঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানো। সব অফিসে হয়তো নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে হাতে কিছুটা সময় নিয়েই বাসা থেকে বেরোতে হবে। নিজের গাড়ি থাকলেও আপনাকে রাস্তায় যানজটের কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের পর পৌঁছে যানজটের অজুহাত কয়দিন খাটে বলুন। প্রায়ই দেরি হতে থাকলে অফিসে তা আপনার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে দেবে এবং এটি অফিসে আপনার ইমেজ ম্লান করে দেয়। সব কাজে ও মিটিংয়ে সময়মতো উপস্থিত থাকুন। হাতের জরুরি কাজ শেষ করেই তবে অফিস ত্যাগ করা উচিত, অর্ধসমাপ্ত কিংবা অসমাপ্ত অবস্থায় কাজ রেখে যাওয়া উচিত নয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাও পেশাদারিত্বের পর্যায়ে পড়ে না। তবে জরুরি কোনো প্রয়োজনে নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া উচিত।


১১. সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা : সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময়ের যথাযথ ব্যবহার করুন। সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলতে চেষ্টা করুন। অহেতুক কাজ জমিয়ে পরবর্তী সময়ে সেগুলো একসঙ্গে করতে গেলে আপনাকে হিমশিম খেতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে অফিসের কর্তাব্যক্তির বিরাগভাজনও হবেন। মিটিংয়ের আগে প্রয়োজনীয় ফাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন। ঠিক সময়ে মিটিং শুরুর আগেই টেবিলে কিংবা মিটিং রুমে উপস্থিত হোন। দেরিতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে নিজে বিব্রত হবেন না, অন্যদের বিরক্ত করবেন না। সময়কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সময়কে ব্যবহার করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। আপনাকে সর্বদাই সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। অধীনস্থ কর্মীদের দিয়ে সময়ের কাজ সময়মত শেষ করতে হবে। এজন্য আপনার মধ্যে সময় সচেতনতা দায়িত্ববোধ থাকা প্রয়োজন।


১২. সময়ানুবর্তিতা : উপর্যুক্ত বিষয়গুলো একজন ব্যক্তিকে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের নিকট দক্ষ সম্ভাবনাময়ী ব্যক্তি রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি সময়ানুবর্তী না হন, তাহলে সেই ব্যক্তি যতগুণের অধিকারীই হোক না কেন তার ক্যারিয়ারে উন্নতি করা বেশ কষ্টসাধ্য। সময়ের কাজ সময়ে করাসহ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে দ্রুত ক্যারিয়ারে উন্নতি করা সম্ভব।


১৩. নিজের দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হোন : কর্মজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজের কাজকে সফলভাবে শেষ করতে পারা। প্রতিষ্ঠান একজন কর্মীর কাছে থেকে সব সময় প্রত্যাশিত কাজ চায়। সেক্ষেত্রে নিজের কাজ ও দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। অন্যের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে তা নিজের মধ্যে পুষে না রেখে উপযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলতে হবে। কাজের মধ্যে গতি আনতে পারলে আপনার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।


১৪.সৃজনশীলতা : সৃজনশীলতা আপনার জন্য একটি অন্যতম মৌলিক গুণ। আপনাকে হতে হবে পরিপক্ব প্রতিষ্ঠানকে বেগবান করতে হলে নিত্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানের সুবিধা-অসুবিধায় অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় রাষ্ট্র নানা আইন-কানুনের কারণে আপনাকে নতুন ধরনের নানা কর্মসূচি ও কর্ম পরিকল্পণা গ্রহণ করতে হয়। অনেক সময় কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করতে হয়। তড়িৎ গতিতে অনাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশীত অবস্থায় উপস্থিত অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় কাজেই আপনি যদি সৃজনশীল মানসিকতার না হন তাহলে প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


১৫. সততার সাথে কাজ করুন : সততা একজন মানুষের মুলধন হিসাবে বিবেচিত হয়। যে কোনো প্রতিষ্ঠিত মানুষকে প্রশ্ন করলেই জবাব আসবে সততাই আমাকে এই অবস্থানে এনেছে। সৎ মানুষকে সবাই বিশ্বাস ও সম্মান করে। সফলতার জন্য সততার বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে নিজের দায়িত্ব মনে করে। সব সময়ের জন্য সৎ থাকতে হবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিজেকে সৎভাবে আপনাকে প্রমাণিত করুন। নিজের কাছে সততা সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস। কথা ভঙ্গ করবেন না। অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা থেকে সবসময় নিজেকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। সততা থাকতে হবে প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে। সত্যবাদী হতে হবে এবং কমিটমেন্ট করলে সেটা যে কোনো মূল্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। আপপনার গ্রাহকদের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, কর্মীদের জন্য, পরিবারের জন্য, বন্ধুদের জন্য এবং নিজের জন্য, যেটা ঠিক সেটাই করবেন সততার সঙ্গে।

১৬. সততা প্রতিষ্ঠা : প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিভাগ ও উপ-বিভাগের সকল স্তরে সততা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনার ও কর্মীদের মধ্যে যদি সততা না থাকে তবে কখনই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সম্ভব নয়। উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসাবে সততা প্রতিষ্ঠায় আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

১৭. চারিত্রিক ন্যায়পরায়ণতা : আপনার চারিত্রিক ন্যায়পরায়ণতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আপনি অধস্তনদের নিকট এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব। আপনাকে সবসময় হীনমন্যতা, পক্ষপাতিত্ব, অন্যায়, অবিচার, সঙ্কীর্ণতা প্রভৃতির ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। তবেই আপনি দলের সদস্যবৃন্দ ও অন্য সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবেন। আপনাকে ন্যয়পরাছু, নিরপেক্ষ ও আদর্শবাদী হতে হবে। অধস্তনরা নেতার অন্ধ অনুগামীতে পরিণত হবে।

১৮. বন্ধু তৈরি করা : বন্ধু তৈরি করুন। মনে রাখবেন, সফলতা কখনো একা আসে না। একসময় আপনার নিশ্চয়ই বড় বড় সাফল্য লাভ করবেন। কিন্তু কখনোই একা একা আপনি কিছুই করতে পারবেন না। বন্ধু তৈরি করুন। সাফল্য সব সময় দলগত পরিশ্রমের সমষ্টিগত ফলাফল। আপনার আগামীর দলনেতা। নেতৃত্বের জন্য আপনার অন্য মানুষের কাছ থেকে সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্য অর্জন করতে হবে। নিজের কথা বলার চেয়ে অন্যদের কথা শোনার অন্যান্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে আপনার। সত্যি বলতে মানুষ তখনই আপনার প্রতি সহানুভূতি দেখাবে, যখন আপনি তাদের সহানুভূতি দেখাবেন। জীবনের নানা প্রয়োজনীয় কাজের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে আপনাকে অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে, বাড়াতে হবে বন্ধুর সংখ্যা। নানাজনের সাথে কথা বলে ও বন্ধুত্ব করাটাও সফল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করতে পারবে।

১৯. সমস্যার সমাধান করা : যে কোনো বাধা-বিঘ্নকে সামনে থেকে মোকাবিলা করতে হবে। বাড়ি কিংবা অফিসে যেখানেই আপনি কোনো সমস্যা দেখবেন, তার সম্মুখীন হবেন। আপনার যা কিছু আছে তা নিয়েই সমস্যার সমাধান করুন। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, যে কোনো সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। মনে রাখবেন, সমস্যার সমাধান সামনে থেকেই করতে হয়। সমস্যাকে যতই অবজ্ঞা করবেন, ততই তা বড় হয়ে উঠবে।

২০. নিজেই সমস্যার সমাধান করুন : আপনাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই চিহ্নিত সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করুন। কাউকে ধরলে, কোনো সোর্স ব্যবহার করলে সমস্যার সমাধান হবে তা উদ্ভাবন করুন।

২১. পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা : চলতি পথে অনেক সময় মানুষ বিরূপ পরিস্থিতি বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় দক্ষ ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিজ জ্ঞানে এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাই পেশা উন্নয়নে ক্ষেত্রে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মত সামর্থ্য আপনার থাকা দরকার।

২২. অপ্রত্যাশিত সমস্যার নিরসন : বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার। কৌশল অনেক প্রত্যাশিত সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পিত কর্মকা- স্বাভাবিক গতিতে চলাকালে যে কোনো সময় অপ্রত্যাশিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সজাগ থাকে না। ফলে প্রতিষ্ঠানে অবাঞ্চিত ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। কৌশল তাৎক্ষণিকভাবে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সাহায্য করে।

২৩. অন্যের কাজে সহযোগিতা করুন: অন্যের জন্য কিছু করুন। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান আর উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এই সময়ে আপনাদের সামনে আছে অনেক সুযোগ। অনেক কিছু করে ফেলতে পারবেন আপনারা। কিন্তু সবকিছুর আগে একটা কাজ করতে কখনোই ভুলবেন না। নিজের মেধা দিয়ে অন্যের জন্য ভালো কিছু করবেন সব সময়। নিজের কাজের ক্ষতি না করে একে অপরকে সাহযোগিতা করুন। তাহলে সবাই আরো বেশি সফল হতে পারবেন। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

২৪. অন্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থাকা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মাঝে সেই উত্তম যে মানুষের উপকার করে। তিনি আরো বলেছেন পৃথিবী বাসীর প্রতি সদয় হও তবে আসমানের অধিবাসীরা তোমাদের প্রতি সদয় হবে। আপনাকে অন্যের প্রতি সদয় হতে হবে, অপরের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে হবে, সহপাঠী ও প্রতিবেশীর সমস্যা দূর করণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। অপর ভাইয়ের দায়িত্বের বোঝা লাঘবে মনোনিবেশ করতে হবে, মোট কথা খেদমতে খাল্ক বা সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত হতে হবে।

২৫. সহযোগিতার মনোভাব ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা : সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য আপনাকে পারস্পারিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আপনার কাজ করা উচিত। অধস্তনদের অসুবিধা, দুঃখ-কষ্টের সময় আপনার এগিয়ে আসা উচিত। এটা আপনার একটি সামাজিক দায়িত্ব। আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছাড়া আপনার অধস্তন ও সহকর্মীদের সাথে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনের গুণ থাকতে হবে।

২৬. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি : আমরা সবাই জানি নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক কর্মকা- ও মনোভাব সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সফলভাবে উন্নতির শিখরে আহোরণ করতে ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই। সত্যিকারার্থে প্রত্যেকটি কাজেই ইতিবাচক মনোভাবের প্রধান্য বেশি। আমি অথবা আপনি এটা ভালো করেই জানি উপদেশ দেয়া সহজ তবে পালন করাটাই কঠিন। সেই সাথে আমরা এটাও জানি ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা, উগ্রতা ও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। আপনি যখন মনের দিক থেকে সৎ থাকবেন, তখন আপনা আপনি মন প্রফুল্ল থাকবে। নিজের সাথে বোঝাপোড়াটাও ভালো হবে। মনকে প্রফুল্ল রাখতে স্বপ্নের চাকরিটাই না শুধু যে কোনো কাজেই সফলতা পেতে পারি আমরা।

২৭. নির্ভরশীলতা : নিজেকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের নিকট নির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকের ধারণা রয়েছে যে, নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সময়মত সম্পাদন করলেই বুঝি ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা খুশি হন। কথাটি সত্যি হলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে এবং দায়িত্বের অতিরিক্ত কাজ করার সক্ষমতা একজন ব্যক্তিকে তার প্রতিষ্ঠানের নিকট নির্ভরশীল ব্যক্তিরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে।

২৮. সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা কাজে লাগান : অন্যের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা কাজে লাগান। মনে রাখবেন, সবার প্রতি সবার একটা প্রত্যাশা থাকে। সেক্ষেত্রে নিজেকে সহানুভূতিশীল হিসেবে তুলে ধরুন। আন্তরিকতা ছাড়া ভালোভাবে কাজ করা যায় না। মন থেকে অনুভব না করলে কোনো কিছুই সুন্দর হয় না। তাই কাজ সম্পর্কে এবং সংশ্লিষ্ট সবার ব্যাপারে আন্তুরিক হওয়া আবশ্যক।

২৯. নিজের দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হোন : কর্মজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজের কাজকে সচ্ছলভাবে শেষ করতে পারা। প্রতিষ্ঠান একজন কর্মীর কাছে থেকে সব সময় প্রত্যাশিত কাজ চায়। সেক্ষেত্রে নিজের কাজ ও দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। অন্যের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হলে তা নিজের মধ্যে পুষে না রেখে উপযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলতে হবে। কাজের মধ্যে গতি আনতে পারলে আপনার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

৩০. কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হোন : কোনো চাকরিতে আপনাকে নিয়োগ করার অর্থ হলো নির্দিষ্ট কিছু কাজ ও দায়-দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পণ করা। যদি আপনার অবহেলা অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে দায়ভার আপনার কাঁধে নিন। নিজ দায়িত্বে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করুন। ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় তা নিশ্চিত করুন। মনে রাখতে হবে, নিজের ভুল অন্যের ওপর চাপানো যাবে না। অন্যকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

৩১. কাজকে বোঝা মনে না করা : কাজকে বোঝা মনে না করে সহজভাবে গ্রহণ করুন। কাজের চাপ কমানো এক দিনের অনুশীলন নয়। আসলে কাজের চাপ আছে না কি শুধু শুধু ঘাবড়ে যাচ্ছেন! বিষয়টি নিয়ে ভাবুন! মনে মনে ভাবছেন, যদি কাজটা ঠিকমত না হয়! যদি ভুল হয়! যদি সব গুবলেট পাকিয়ে যায়। সুতরাং কেন চাপ মনে করছেন সেটা আরেক বার যাচাই করুন।

৩২. কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন : কাজের খুব চাপ হলে সব ভুলে গিয়ে ৫ মিনিট চুপ চাপ বসে থাকুন, একটু হাঁটাহাঁটি করুন

৩৩. নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন : নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা আশা করা যায়না। বলা হয় আত্মবিশ্বাসের সাথে শুরু করা মানেই হল অর্ধেক কাজ করে ফেলা। আত্মবিশ্বাস মানে নিজকে চেনা। নিজের সৃজনশীলতার ওপর আস্থা রাখা। হীনমন্যতা দূর করা। দৈনন্দিন ও প্রত্যাহিক জীবনে আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করা। আপনার বন্ধু, পরিবার এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের বন্ধু আর পরিবারকে সব সময় কাছে রাখবেন। আমি আপনার পরিবার আর বন্ধু কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলে বোঝাতে পারব না। তারাই আপনার পথ চলাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারেন। ভালো সময়গুলো তাদের সঙ্গে উদযাপন করুন। আর কঠিন সময়গুলোতে পরিবার আর বন্ধুদের পরামর্শ নিন। নিজের বিশ্বাসের ওপর আস্থা রাখুন।

৩৪. বিশ্বাসযোগ্যতা : শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, বিশ্বাসযোগ্যতা এমন একটি গুণ যা একজন ব্যক্তিকে দ্রুত ক্যারিয়ারের সফল হতে সাহায্য করে। আপনি যে ধরনের প্রতিষ্ঠানে এবং যে দায়িত্বেই থাকুন না কেন নিজেকে যে কোনো কাজে প্রতিষ্ঠানের নিকট বিশ্বাসী কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারাই চায় তাদের প্রতিষ্ঠানের মানসম্পন্ন বিশ্বাসী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদানের।

৩৫. ব্যক্তিত্ব : আপনি যা ভাবেন এবং যেভাবে সে আচরণ করেন তাই আপনার ব্যক্তিত্ব। তাই ব্যক্তিত্বের সাথে পেশা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তি গঠনের মাধ্যমে মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রণ মূল্যেবোধ, চিন্তা ব্যবহারের ক্ষমতা প্রেষণা ও লক্ষ্য অর্জনে সম্পর্কবোধ ইত্যাতি নির্ধারিত হয়। আপনাকে অবশ্যই শক্তিশালী ও মোহনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হতে হবে। আপনার জন্য ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তির পক্ষে সহজেই অপরের শ্রদ্ধাভাজন হওয়া সম্ভব হয় এবং এতে তদারক কার্যে জটিলতা হ্রাস পায়। আপনার ব্যক্তিত্বই আপনাকে অনুসারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

৩৬. দৃঢ় আস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব : বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহকে তীব্র ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিকট সবচেয়ে বেশি মূল্যায়িত হয়ে থাকে দৃঢ় আস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি, যে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্বন্ধে অবহিত থাকার পরেও তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। দ্রুতপদোন্নতি এবং ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে এ গুণাবলী একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের ঊধ্বর্তন ব্যক্তিদের নিকট অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে রাখে নিঃসন্দেহে।

৩৭. সাহস ও আত্মপ্রত্যয় : সাহসকিতা একটি উত্তম গুণ। যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সম্পাদনের জন্য যথেষ্ঠ সাহসিকতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনার মধ্যে অদৃশ্য সাহস ও সুদৃঢ় আত্মপ্রত্যয় থাকতে হবে। আপনাকে প্রায়শই নতুন প্রযুক্তি ও ধ্যানধারণা প্রয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হয়। পর্যাপ্ত সাহস, মনোবল ও আত্মপ্রত্যয় থাকলে আপনার পক্ষে যে কোনো পরিবেশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

৩৮. একাগ্রতা : নতুন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো কোনো সহজ কাজ নয়। যে কোনো উদ্যোক্তাই কঠিন সময়েও কাজ করে যাওয়ার প্রবল মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যায় এবং মাঝে মাঝে সে বড় কিছু করে ফেলে। যারা সিরিয়াস তারা যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত থাকে যাই হোক না কেন। একটি বিষয়ে তারা ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়, তারা কখনও একসাথে সবকিছু করতে গিয়ে ঝামেলা তৈরি করে না।

৩৯. আন্তরিকতা : আপনাকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ও কাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। আন্তরিকতার সাথে প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনা করলে কাজের অগ্রগতি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। তাই আপনাকে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।

৪১. স্মৃতিশক্তি : সাফল্য লাভের জন্য স্মৃতিশক্তি অনেকটা চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেন। দুর্বল স্মৃতিশক্তির লোক পেশাগত দিক থেকে বেশি দূরে এগোতে পারে না। উন্নত স্মৃতিশক্তির কোনো ব্যক্তি পেশাজীবনে সফল হয় কারণ স্মৃতি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিষয় বিশ্লেষণ কাজে লাগিয়ে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

৪২. শোনার ক্ষমতা : বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রেক্ষাপটে মনোযোগ দিয়ে কথা শোনাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে যার গলার জোর বেশি তার কথাই বেশিরভাগ সময়ে শুনতে পাওয়া যায়। তবে ফিডব্যাক দেয়া এবং শোনা কথাকে কাজে লাগানো।

Comments

Popular posts from this blog

HSC English First Paper | Unit: 1, Lesson: 1 | People or Institutions Making History | Nelson Mandela, from Apartheid Fighter to President